🚀 শীঘ্রপতন কী?
ভাবুন আপনি একটি রেসের জন্য প্রস্তুত, কিন্তু শুরু করার আগেই ফিনিশ লাইনে পৌঁছে গেছেন! হতাশাজনক, তাই তো? ঠিক এভাবেই শীঘ্রপতন (Premature Ejaculation – PE) অনুভূত হয়। এটি এমন একটি সমস্যা যেখানে পুরুষরা খুব দ্রুত বীর্যপাত করেন, যা অসন্তুষ্টি এবং কখনও কখনও বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। তবে দুশ্চিন্তার কিছু নেই! প্রতি ৩ জনের ১ জন পুরুষ জীবনের কোনো না কোনো সময়ে এই সমস্যার সম্মুখীন হন।

আয়ুর্বেদিক দৃষ্টিভঙ্গিতে শীঘ্রপতন
আয়ুর্বেদ অনুসারে, শীঘ্রপতন বাত দোষের (Vata Dosha) অস্থিরতা এবং শুক্র ধাতুর দুর্বলতার (Shukra Dhatu Kshaya) কারণে হয়। এছাড়াও, শরীরের ওজস (Ojas – প্রাণশক্তি) কমে যাওয়া, মানসিক চাপ, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার জন্য এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আয়ুর্বেদ অনুযায়ী শীঘ্রপতনের কারণ:
অতিরিক্ত যৌনসংগম—শুক্র ধাতুর শক্তি হ্রাস পায়।
অপুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস—জাঙ্ক ফুড, অতিরিক্ত ঝাল ও লবণাক্ত খাবার প্রজনন ক্ষমতা দুর্বল করে।
পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাব—অনিদ্রা হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে।
অতিরিক্ত পর্ন দেখা ও হস্তমৈথুন—সংবেদনশীলতা ও নিয়ন্ত্রণ কমায়।
শীঘ্রপতনের মূল কারণ কী?
শুধু শারীরিক নয়, এটি মানসিক কারণেও হতে পারে। আসুন গভীরে দেখি:
মানসিক কারণ (Psychological Causes)
চিন্তা ও মানসিক চাপ: অতিরিক্ত ভাবনা পারফরম্যান্স নষ্ট করতে পারে।
ডিপ্রেশন: মন খারাপ থাকলে যৌন উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়।
অপরাধবোধ ও সম্পর্কজনিত সমস্যা: মানসিক অস্থিরতা যৌন জীবনে প্রভাব ফেলে।
অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা: কিছু পুরুষের লিঙ্গের সংবেদনশীলতা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে, যা দ্রুত বীর্যপাতের কারণ হতে পারে।
শারীরিক কারণ (Physical Causes)
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: কম সেরোটোনিন (Serotonin) মাত্রা দ্রুত বীর্যপাত ঘটায়।
জিনগত কারণ: আপনার বাবা বা পূর্বপুরুষদের যদি এই সমস্যা থাকে, তাহলে আপনারও হতে পারে।
ইরেক্টাইল ডিসফাংশন (ED): লিঙ্গ উত্থানের সমস্যার আশঙ্কা দ্রুত বীর্যপাত ঘটাতে পারে।
পেলভিক ফ্লোর মাংসপেশির দুর্বলতা: দুর্বল মাংসপেশি বীর্যপাত নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়।
সমাধান সম্ভব!
শীঘ্রপতন স্থায়ী সমস্যা নয়—সঠিক পদ্ধতিতে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। মানসিক ও শারীরিক কারণ চিহ্নিত করাই হল প্রথম পদক্ষেপ। শীঘ্রই আমরা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ও জীবনধারার পরিবর্তনের মাধ্যমে কীভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করবো!
বিশেষজ্ঞ পরামর্শ প্রয়োজন? একজন আয়ুর্বেদিক ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন এবং প্রাকৃতিক সমাধান খুঁজে নিন!